Monday, 14 October 2024

FIRST AID VIDEO

 



প্রাথমিক প্রতিবিধান – Video Download  

ক্রমিক

বিষয়

পাঠ্য বই লিংক

Coller & cuff bandage

ডাউনলোড

First Aids Arm sling (1)

ডাউনলোড

First Aids Arm sling (2)

ডাউনলোড

4

Jaw Injury Bandage

ডাউনলোড

5

knee bandage

ডাউনলোড

6

Types of Bandage - Learn how to use a bandage

ডাউনলোড

7

bandage

ডাউনলোড

8

Jaw bandage

ডাউনলোড

Thursday, 10 October 2024

কঠিন বিষয়কে সহজে মনে রাখার কৌশল

কঠিন বিষয়কে সহজে মনে রাখার কৌশল

­­­

বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদেরকে অনেক কঠিন বিষয় মুখস্থ করতে হয়। তাছাড়া প্রফেশনাল লাইফেও কিছু বিষয় রয়েছে যা মনে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় সব শিক্ষার্থীই কোনো না কোনো বিষয়ে দুর্বল থাকে। সে বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে প্রয়োজন হয় বাড়তি মনোযোগ, অতিরিক্ত শ্রম। কিছু সহজ কৌশলের মাধ্যমে কঠিন বিষয়গুলোকেও আয়ত্ত করা যায় সহজে।

বিষয়টিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করুন: বড় বা জটিল বিষয়কে ছোট ছোট টুকরোতে ভাগ করে নিন। এতে বিষয়টি সহজে বোঝা যায় এবং মনে রাখা যায়। বড় বড় প্যারাগ্রাফের পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন। পয়েন্ট আকারে তথ্য লিখলে পড়তে ও মনে রাখতে সুবিধা হয়।

ভিজ্যুয়ালাইজেশন বা ছবি কল্পনা করুন: তথ্যের সাথে ছবি, চিত্র বা গল্প কল্পনা করলে মনে রাখা সহজ হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো তথ্যকে মানসচিত্রে (mind map) সাজাতে পারেন।

মেমোরি প্যালেস পদ্ধতি ব্যবহার করুন: পরিচিত কোনো জায়গার সাথে তথ্যগুলোর সংযোগ স্থাপন করুন। যেমন, আপনার ঘরের কোণে কোনো তথ্য কল্পনা করা।

সংগীত বা ছন্দ তৈরি করুন: তথ্যকে গান, ছড়া বা ছন্দের মাধ্যমে মনে রাখার চেষ্টা করুন। এটি মস্তিষ্কে তথ্য ধরে রাখার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

এসোশিয়েশন তৈরি করুন: নতুন তথ্যকে কোনো পরিচিত বিষয় বা অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে সংযোগ তৈরি করুন।

রিপিটেশন (পুনরাবৃত্তি): বিষয়টি বারবার পড়ুন এবং নিজের মতো করে পুনরায় লিখুন। স্পেসড রিপিটিশন (spaced repetition) প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আরও কার্যকর হয়।

শেখানোর চেষ্টা করুন: যা শিখেছেন তা অন্য কাউকে শেখানোর চেষ্টা করুন। এটি আপনার জ্ঞান আরও মজবুত করে।

ফোকাস ও বিশ্রাম: একটানা না পড়ে মাঝে মাঝে বিরতি নিন। ২৫-৩০ মিনিট পড়ে ৫-১০ মিনিট বিশ্রাম নিলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে।

আবেগের সংযোগ তৈরি করুন: কোনো তথ্যের সাথে আবেগ বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা জুড়ে দিন। আবেগপূর্ণ বিষয় সহজে মনে থাকে।

অভ্যাস ও সময়: নিয়মিত অনুশীলন করুন এবং সময় দিন। বারবার চেষ্টা করলে কঠিন বিষয়ও সহজ হয়ে যায়।

ইন্দ্রিয়গুলোকে ব্যবহার করুন:কঠিন পড়াগুলো শব্দ করে উচ্চারণ করে পড়ুনশব্দ করে পড়া আর মনে মনে পড়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। মনে মনে পড়ার সময় একটি ইন্দ্রিয় অর্থাৎ চোখের মাধ্যমে তথ্য পায় মস্তিষ্ক। অপরদিকে শব্দ করে পড়ার মাধ্যমে চোখের সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণেন্দ্রিয় বা কান দ্বারাও মস্তিষ্ক তথ্য পেয়ে থাকে। এর ফলে তথ্যটি আরও ভালোভাবে মস্তিষ্কে স্থান করে নেয়। তবে শুধু শব্দ করে পড়লেই হবে না। বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যে অংশটি বুঝতে পারবেন না, সেটি বারবার পড়ে বোঝার চেষ্টা করুনবুঝতে না পারলে বিষয়টি মনে রাখা কঠিন হয়ে যায়

পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিখে অভ্যাস করুন: কঠিন বিষয় লিখে লিখে পড়া একটি ভালো অভ্যাস। এর ফলে অল্পসময়ে বিষয়টি আয়ত্তে আসে। যখন মনে করবেন বিষয়টি আয়ত্তে এসেছে তখন সম্পূর্ণ অংশ আবার না দেখে লেখুনএবার নিজেই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করুনভুলত্রুটি বের করুনপ্রয়োজনে আরও একবার পড়ে পুনরায় লেখুন

নিজের সময় খুঁজে বের করুন: প্রতিটি মানুষ স্বতন্ত্রসত্তার অধিকারী। কারও মস্তিষ্ক সকালে ভালো কাজ করে, আবার কারও হয়তো গভীর রাতে। আপনার সময় কোনটা সেটা খুঁজে বের করুনকঠিন বিষয়টি সে সময়ে পড়ুনদেখবেন সহজে আয়ত্ত করতে পারছেনএর জন্য বিভিন্ন সময়ে পড়তে বসে নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে কোন সময়ে আপনার মস্তিষ্ক সবচেয়ে ভালো কাজ করে।

মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন: একটা কিছু জানার পর মস্তিষ্কের সময় প্রয়োজন হয় সেই তথ্যগুলো গুছিয়ে সংরক্ষণ করতে মূলত বিশ্রাম বা ঘুমের সময়ে মস্তিষ্ক এই কাজটি করে। মস্তিষ্কের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই পরীক্ষা এলে নাওয়া-খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে পড়তে শুরু করে। এতে লাভের থেকে ক্ষতিই হয় বেশি। মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ কার্যকারিতার জন্য পরিমিত ঘুমান, মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন

নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়া আয়ত্ত করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করুনহয়তো এক কাপ চা খেলেনতেমনি নির্দিষ্ট সময়ে পড়া না করতে পারলে শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে। যেমন- পড়াটি শেষ না করে টেবিল থেকে উঠবেন না। নিজেকে অনুপ্রাণিত করার জন্য এসব উদ্যোগ খুবই ফলপ্রসূ হয়ে থাকে।

বিভিন্ন উপস্থাপনা পদ্ধতি ব্যবহার করা: প্রতিদিন পড়র পাশাপাশি, শুনে এবং দেখে পড়ুন। অডিও বা ভিডিও লেকচার থেকে শোনা বা বিভিন্ন চিত্র ও ডায়াগ্রামের মাধ্যমে দেখা, স্মৃতির ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়।

সম্পর্কিত উদাহরণ ব্যবহার করা: যেকোনো কঠিন বিষয়ের সাথে বাস্তব জীবনের উদাহরণ সম্পর্কিত করুন। উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি সহজে মনে রাখা যায়।

পড়ার পরিবেশ তৈরি করুন

একটি নিরিবিলি ও মনোযোগী পরিবেশে পড়াশোনা করুন। গুছানো পরিবেশ মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।

মনে রাখা প্রয়োজন, মনে রাখার দক্ষতা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। ধৈর্য ধরে নিয়মিত চর্চা করলে কঠিন বিষয়ও সহজ হয়ে যাবে।

কঠিন বিষয়গুলি মনে রাখা অনেক সময় চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কিন্তু সঠিক কৌশল ও নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে তা সহজ হতে পারে। উপরে উল্লেখিত কৌশলগুলো অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা ও পেশাদাররা তাদের কঠিন বিষয়গুলি সহজেই মনে রাখতে সক্ষম হবেন।

লেখক, গবেষক ও স্কাউটারমোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

শিক্ষকবায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্সমাস্টার্স) মাদরাসা

 

 

নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে পড়তে যাওয়ার কৌশল

নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে পড়তে যাওয়ার কৌশল


বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর পথ। এটি কেবল বৈশ্বিক মানের শিক্ষা লাভের সুযোগ দেয় না, বরং ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতাও উন্নত করে। তবে এ যাত্রা সহজ নয়। সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া এটি একটি জটিল এবং চাপপূর্ণ অভিজ্ঞতায় পরিণত হতে পারে। বিদেশে পড়তে গেলে কখন প্রস্তুতি নিতে হবে? স্নাতক শেষ বর্ষ থেকেই কি প্রস্তুতি নেব? নাকি আরও আগে নেওয়া উচিত? এমন প্রশ্ন আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। এ ছাড়া কারও কারও সিজিপিএ হয়তো কম কিন্তু বিদেশে পড়তে যেতে চান, তাঁরা কী করবেন? আর বিদেশে পড়তে গেলে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ সবকিছু নিয়েই আমাদের আজকের আয়োজন।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

আপনার পড়ার উদ্দেশ্য কী? পেশাগত উন্নতি, গবেষণা, বা নতুন সংস্কৃতি অভিজ্ঞতাউদ্দেশ্য সুনির্দিষ্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর নির্ধারণ করুন কোন বিষয় এবং কোন দেশে পড়তে চান।

 উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রোগ্রাম নির্বাচন

বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিং, খরচ, এবং প্রোগ্রামের মান যাচাই করুন। আপনার আগ্রহ এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী সেরা প্রোগ্রামটি বেছে নিন।

 পাসপোর্ট তৈরি

দেশের বাইরে গেলে আপনাকে পাসপোর্ট করতেই হবে। তাড়াহুড়ো করে পাসপোর্ট তৈরি করতে গেলে যেহেতু অতিরিক্ত ফি দিতে হয় তাই সময় থাকতেই পাসপোর্ট করে ফেলুন। এতে আরেকটি সুবিধা হবে। তা হলো, পাসপোর্টে যদি নাম, বাবা-মায়ের নাম বা অন্য কোনো তথ্যের ভুল বা বানান ভুল থাকে তাহলে আপনি সংশোধনের যথেষ্ট সময় পাবেন। তাই দেরি না করে পাসপোর্ট করতে দিন। তাছাড়া পাসপোর্ট তৈরি করতে দিলে আপনি প্রবেশ করবেন বিদেশে পড়তে যাওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে। যা আপনার অ্যাকাডেমিক ও অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।

 সব জায়গায় এক নাম এক বানান

নতুন জায়গায় আপনার নামই আপনার পরিচয়। দাপ্তরিক কাগজপত্র যেমন পাসপোর্ট, শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্মসনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে), বিভিন্ন কোর্সের সনদপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কাগজপত্র ইত্যাদি প্রতিটি জায়গায় আপনার নাম, আপনার বাবা-মায়ের নাম একই হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এক হলেই নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হবে যে, এই কাগজপত্রগুলো একই ব্যক্তির। এক্ষেত্রে নামের বানান সব কাগজপত্রে একই হতে হবে। কারণ একই নামের কিন্তু ভিন্ন বানানের ভিন্ন ব্যক্তি দেখা যায়। আপনার সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতা পর্যন্ত সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সে অনুযায়ী এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ইত্যাদি পর্যায়ের প্রতিটি সনদপত্র সংগ্রহ করুন। প্রতিটি কাগজপত্র মিলিয়ে দেখুন নাম ও নামের বানান, স্থায়ী ঠিকানা ইত্যাদি একই আছে কি না। না থাকলে তা সংশোধন করুন।

 ভাষা যোগ্যতার পরীক্ষার প্রস্তুতি

বিদেশে পড়াশোনা করতে হলে সে দেশের বা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তাই পড়ার সুযোগ বা বৃত্তিপ্রদানের আগে দেখে নেয় ওই শিক্ষার্থীর ভাষা যোগ্যতা। আইইএলটিএস (IELTS) International English Language Testing System হচ্ছে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। যাদের মাতৃভাষা ইংরেজি না এই পরীক্ষা মূলত তাদের জন্য। প্রথমে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস অপরিহার্য থাকলেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এ পরীক্ষার স্কোর গ্রহণ করছে। কাঙ্খিত স্কোর অর্জন করতে অনেকের বেশ সময় লেগে যায় বলে এর প্রস্তুতি বেশ আগে থেকেই নেওয়া ভালো। ফুল ফান্ড বা ভালো ধরনের পার্শিয়াল স্কলারশিপ পেতে হলে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েটের শিক্ষার্থীদের জন্য SAT ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জন্য GRE/ GMAT পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে একটু আগে থেকে।

 

তালিকা করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের

পছন্দের দেশগুলোর কমপক্ষে পাঁচটি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা তৈরি করুন। এই তালিকা তৈরির আগে অবশ্যই আপনি কমপক্ষে প্রতিটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য নেড়েচেড়ে দেখবেন। সেখান থেকে এই সংক্ষিপ্ত (প্রতিটি দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়) তালিকা তৈরি করবেন। এই তালিকা করার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ফি, আবাসন খরচ, অবসরে কাজের সুবিধা, আপনার সামর্থ্যরে মধ্যে আছে কি না, আপনার স্বাস্থ্যের অনুকূল কি না, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিবাসীদের প্রতি কেমন আচরণ করে ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চেষ্টা করবেন। ভালো হয় যারা আপনার ইতিমধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তাদের থেকে জেনে নেওয়া। এর মধ্য থেকে যেটি আপনার জন্য প্রযোজ্য সেগুলোর তালিকা তৈরি করবেন। বিষয় নির্ধারণের সময় খেয়াল রাখবেন বিষয়টি যেন আপনার আগের পড়াশোনার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন সময়ে ছাত্র গ্রহণ করে লিখে রাখতে হবে। আবেদনের শেষ সময় আগে থেকেই নোট করে রাখতে হবে।

 আর্থিক পরিকল্পনা করুন

বিদেশে পড়ার খরচ উচ্চ হতে পারে। শিক্ষাবৃত্তি, শিক্ষাঋণ বা ব্যক্তিগত সঞ্চয়ের বিষয়ে আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন। খরচের মধ্যে টিউশন ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ, এবং ভ্রমণের খরচ যোগ করতে ভুলবেন না।

প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করুন

আপনার পাসপোর্ট, ভিসা, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সুপারিশপত্র, এবং আবেদনপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন। এগুলো সময়মতো জমা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

 সুযোগ-সুবিধার খোঁজখবর

বিদেশে পড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে খোঁজখবর পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে অবস্থিত সেসব দেশের দূতাবাসে খোঁজ নিতে হবে। তা ছাড়া কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা আগে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেছেন তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে এবং তারা কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন তা অনুসরণ করতে হবে। প্রয়োজনে পেশাদার পরামর্শকের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

 অন্যান্য দক্ষতা অর্জন

বিদেশে শুধু পড়াশোনা না, অন্যান্য দক্ষতাও বেশ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। উচ্চশিক্ষার জন্য সহশিক্ষা কার্যক্রম বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে কাজের অভিজ্ঞতার সনদ বা পুরস্কার বেশ গুরুত্ব বহন করে। এ ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিয়ে সনদ অর্জন করে নিজের পোর্টফোলিও ভারী করার সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। তাছাড়া কম্পিউটারের কিছু বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষা, মাইক্রোসফট অফিসের বিভিন্ন প্রোগ্রামে দক্ষতা অর্জন, ড্রাইভিং শেখা, টুকটাক রান্না বা প্রাথমিক চিকিৎসার কৌশল জেনে রাখা খুব কাজে দেবে।

আবেদন প্রক্রিয়া: বিদেশে পড়াশোনার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন পাসপোর্ট, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, রিকমেন্ডেশন লেটার ইত্যাদি সংগ্রহ করুন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা অনুযায়ী আবেদন জমা দিন।

ভিসা আবেদন: যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি নিশ্চিত হয়, তাহলে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করুন। নির্ধারিত ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ ভিসার জন্য আবেদন করুন। ভিসা প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন।

বাসস্থান ও পরিবহণ: বিদেশে যাওয়ার পর যেখানে থাকবেন সেই বাসস্থানের ব্যবস্থা করুন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকার সুযোগ থাকলে তা সম্পর্কে খোঁজ নিন অথবা প্রাইভেট বাসস্থান ভাড়া নিন। স্থানীয় পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কেও পূর্বেই ধারণা নিন।

সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোন

যে দেশে যাচ্ছেন, সেখানকার সংস্কৃতি, আইনকানুন এবং পরিবেশ সম্পর্কে ধারণা নিন। এটি নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

বিভ্রান্ত হবেন না: আপনি যদি কনফিডেন্ট হন, কেউ আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তাই কনফিডেন্স খুবই জরুরি। একটা বিষয় মনে রাখবেন, টাকা দিয়ে কখনো ভিসা কেনা যায় না। আপনার যোগ্যতা থাকলেই কেবল আপনি এডমিশন এবং ভিসা পাবেন। তাই প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না। অনেকে এডমিটেড হওয়ার পরও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভিসা পেতে ব্যর্থ হন। একটা সাধারণ জ্ঞান হলো, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি আপনাকে ছাত্র হিসাবে গ্রহণ করে, তবে দূতাবাস ভিসা দিতে বাধ্য; যদি না কোনো মেজর ত্রুটি থাকে। তাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অগ্রসর হোন।

বিদেশে পড়ার প্রস্তুতি একটি পরিকল্পিত এবং ধৈর্যের প্রক্রিয়া। সঠিক পরিকল্পনা, সময়ানুবর্তিতা এবং পরিশ্রম আপনাকে স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে নেবে। উপরে বর্ণিত কৌশল ও পরামর্শগুলি অনুসরণ করে প্রস্তুতি নিলে আপনি আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পেতে পারেন এবং ভবিষ্যতে একটি সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন:
লেখক, গবেষক ও স্কাউটার
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

শিক্ষকবায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্সমাস্টার্স) মাদরাসা

 

 

Bottom of Form

 

পড়ালেখায় মনোযোগী হবার সহজ উপায়

পড়ালেখায় মনোযোগী হবার সহজ উপায়



বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখা সবসময় সহজ নয়, বিশেষ করে যখন অনেক কিছু শিখতে হয় এবং পরীক্ষার চাপ থাকে শিক্ষাজীবনে আমাদের অনেক কিছু মনে রাখতে হয়। কারণ পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য চাই বেশি তথ্য মনে রাখা। যে যত বেশি তথ্য পরীক্ষার খাতায় উপস্থাপন করতে পারবে, সে তত বেশি ভালো ফলাফল করতে পারবে। কীভাবে আমরা লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারব এবার তা নিয়ে একটু অলোকপাত করা যাক।

 

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা মেডিটেশন

মনোযোগ বাড়ানোর জন্য আগে নিজেকে শান্ত ও স্থির রাখতে হবে। এজন্য শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম খুব উপকারী। সকালে মেরুদণ্ড সোজা করে বসে লম্বা করে নাকে শ্বাস নিন, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এবং মুখ দিয়ে নিশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে কয়েকবার করুন। তারপর কিছু সময় চোখ বন্ধ করে ভাবুন আপনার এখন মনোযোগ আসবে। সকালে বা দিনের কোনো নিদিষ্ট সময় মেডিটেশনের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিত।

 শুরুটা করুন ধীরে ধীরে

বিশেষজ্ঞরা মনোযোগ বাড়ানোর জন্য শুরুতেই সহজ কিছু করার পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযোগী হচ্ছে `পোমোডোরো' মেথড। এই মেথডের মূল কথা হচ্ছে, ২৫ মিনিট এক নাগাড়ে কাজ করে ৫ মিনিটের বিরতি নেওয়াএভাবে ২৫ মিনিট করে তিনবার কাজ করার পর ২০ মিনিট বিরতি নেওয়া

 ইলেকট্রনিক ডিভাইস কিছু সময়ের জন্য দূরে রাখুন

মোবাইল ফোন, টেলিভিশনের মতো কিছু ডিভাইস কাজে মনোযোগ আনতে সবচেয়ে বেশি বাধা দেয়। জার্নাল অফ বিহেভিয়ারাল অ্যাডিকশনের সাম্প্রতিক একটি স্টাডিতে প্রকাশিত হয়েছে, আপনি যখন কোনো কাজ করেন, ওই মুহূর্তে কাজ করার পাশাপাশি যদি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা ফোন ব্যবহার করে থাকেন তবে আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ অনেকটাই কমে যায়। তাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করার আগে ব্যক্তিগত ফোনটি কিছু সময়ের জন্য দূরে রাখাই শ্রেয়

কাজের তালিকা করুন

যে কোনো কাজে মনোযোগ থাকলে সময় কম লাগে। এজন্য গুরুত্ব অনুযায়ী তালিকাবদ্ধ করে নিন আপনার কাজের বিষয়গুলো। কাজ জমিয়ে না রেখে একে একে সেরে ফেলুন। একসঙ্গে অনেক কাজ জমিয়ে রাখলে মস্তিষ্ক অস্থির হয়ে পড়ে। যে কারণে একটিতে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। কবে কী কাজ, সেই তালিকা বা চেকলিস্ট তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। গুগল ক্যালেন্ডার বা মোবাইলে 'টু ডু লিস্ট' না করে ডায়রিতে টুকে ফেলুন।

 নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগান

কোনো কাজ যদি সঠিক সময়ে শুরু করতে চান আর সেখান থেকে সফলতার মুখ দেখতে চান তবে কাজে লাগান নিজে ইচ্ছাশক্তিকে। নিজেকে কথা দিন এই কাজটি শেষ করার আগে উঠছেন না আপনি। 'আমি পারি, আমাকে এই কাজটা নিখুঁতভাবে শেষ করতে হবে' এই বিষয়টা মনে গেঁথে নিন। তাই বলে সারাদিন দরজা বন্ধ করে কাজে ডুবে থাকবেন না, তাহলে কিন্তু ইচ্ছাশক্তি দৌড়ে পালাবে!

 সব কাজেই মনোযোগ দিন

যেকোনো কাজ খুব মনোযোগ দিয়ে করুন। খাওয়ার সময় খাবারের রং, স্বাদ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করুন। মুভি দেখার সময় নায়ক হাত কীভাবে নাড়াচ্ছেন, কথা বলার সময় চোয়াল কীভাবে নাড়াচ্ছেন, সব খেয়াল করুন। ঠিক তেমনি কেউ কথা বলার সময়  কী বলছেন, কীভাবে কথা বলছেন তা মন দিয়ে শুনুন। শ্রবণ শক্তিকে সমৃদ্ধ করুন। মনোযোগ একটি চর্চার বিষয়যত বেশি মনোযোগ দিয়ে আপনি আপনার প্রাত্যহিক কাজ করবেন তত বেশি মনোযোগের চর্চার মধ্যে থাকবেন।

 মনোযোগ বাড়ানোর জন্য খেলতে পারেন গেম

হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য যেমন শারীরিক ব্যায়াম প্রয়োজন, তেমনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন মানসিক ব্যায়াম বা মস্তিষ্কের ব্যায়াম। গুগলে খুঁজলে আপনি অসংখ্য গেমস পাবেন যা তৈরিই হয়েছে আপনার মনোযোগ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য নিয়ে। ব্রেইন ট্রেইনিং গেমগুলো আপনাকে দ্রুত ভাবতে, সিদ্ধান্ত নিতে কিংবা আপনার স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একটা করে খেলুন। তবে গেম খেলতে গিয়ে শরীরে যাতে জড়তা চলে না আসে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।

খেয়াল রাখুন ঘুমে

মনোযোগ স্থির রাখার জন্য প্রয়োজন ঘুম। ঘুম কম হলে আমাদের মনোযোগে যেমন বাধা সৃষ্টি হয়, তেমনি অতিরিক্ত ঘুম ব্রেনকে স্থবির করে দেয়। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনন্দিন ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।

 খাবারটাও গুরুত্বপূর্ণ

উদ্ভিজ্জ খাবার, সবুজ শাকসবজি ফলমূল গ্রহণে উৎসাহী হোন। রেডমিট, পরিশোধিত শর্করা, অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকা থেকে কমানোর চেষ্টা করুন। আমিষ বেছে নিন এমনভাবে, যাতে ক্যালরি ও খারাপ চর্বির পরিমাণ থাকে কম। খাবারে লবণের ব্যবহার করতে হবে সীমিত। পাতে বাড়তি লবণ বর্জনীয়। ওমেগা৩ যুক্ত খাবার যেমন বাদাম, সামুদ্রিক মাছ মনোযোগ বাড়ায়। কখনোই খালি পেটে কাজ করতে বসবেন না, এতে মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন। কাজ শুরুর আগে হালকা স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খেয়ে নিতে পারেন। তবে পেট ভরে যাবেন না, এতে মনোযোগের বদলে চোখ জুড়ে আসবে ঘুম।

 রুটিনে রাখুন শরীরচর্চা

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে আমাদের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে। গবেষণায় দেখা গেছে, একই রকম মেধাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও সারাদিন শুয়ে বসে কাটানো শিক্ষার্থীদের তুলনায় যারা শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পরীক্ষায় ফলাফল ভালো হয়মস্তিষ্কে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপিত হয়।

 

বিরতি নিয়ে পড়ুন

একটানা পড়লে মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হয়। কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিলে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বাড়ে এবং পড়া মনে থাকে। তাই ২৫ মিনিট পরপর ৫-১০ মিনিটের জন্য ছোট বিরতি নিন। এভাবে চারবার পুনরাবৃত্তি করুন। তারপর একটি দীর্ঘ বিরতি নিন। বিরতিতে কিছুক্ষণ ব্যায়াম, মেডিটেশন, হালকা ঘুম কিংবা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এরকম অনেক কৌশল রয়েছে। আপনার জন্য কোনটি উপকারী তা জানুন এবং মেনে চলুন। 

 বিষয়ভিত্তিক অগ্রাধিকার দিন 

পড়তে বসার আগে বিষয়ের অগ্রাধিকার অনুযায়ী তালিকা তৈরি করুন। এতে কোনটি আগে, কোনটি পরে পড়তে হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ পড়ার বিষয়গুলো আগে চিহ্নিত করুন, এতে আরও কার্যকরভাবে সময় কাজে লাগাতে পারবেন। প্রথমে কী করা উচিত সে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হলে, আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী কোনটির ডেডলাইন আগে সেটি দেখুন। এভাবে ক্লাস টাস্ক থেকে কোর্সওয়ার্ক সম্পন্ন করতে গুগল ক্যালেন্ডার, ক্লিকআপের মতো অ্যাপ সাহায্য করতে পারে। 

 কিছু কৌশল মেনে চলুন 

পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে কিছু স্মার্ট অভ্যাস এবং কৌশল মেনে চললে দ্রুত পড়া মনে থাকে। যেমন, আলাদা অধ্যায় বা বিষয়ের জন্য আলাদা রঙের ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করে নিজের ভাষায় সংক্ষেপে তথ্য লিখে রাখা। পড়া অন্য কাউকে বুঝিয়ে দেওয়া। বড় তথ্য ছোট ছোট অংশে ভাগ করানির্দিষ্ট সময় পরপর পুনরায় পড়া। একই বিষয়ে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কী কী প্রশ্ন আসতে পারে তা চিন্তা করা এবং তার উত্তর জানা। 

 

নিজেকে পুরস্কার দিন

প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের পর কোনো কিছু পেলে আগ্রহ অনেকগুণ বাড়ে। তাই কিছু আনন্দ পাওয়ার আশায় পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারলে মন্দ কী! পুরস্কার যে সবসময় বড় হতে হবে এমন তো কথা নেই। ছোটোখাটো উদযাপন দিয়েও আনন্দ উপভোগ করা যায়। সেটি হতে পারে আপনার প্রিয় অনুষ্ঠানের একটি সিজন দেখা, টেক-আউট খাবারের অর্ডার দেওয়া বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। তবে আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী কতটুকু এগিয়েছেন সেটি মাথায় রাখতে ভুলবেন না। 


পড়ার সঠিক পরিবেশ তৈরি করুন

একটি শান্ত ও আরামদায়ক পরিবেশে পড়ার অভ্যাস করুন। যেখানে আলো ও বাতাস পর্যাপ্ত, সেখানে বসে পড়ুন। টিভি, মোবাইল বা অন্য কোনো ধরনের বিঘ্ন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

 

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

প্রতিদিন কী পড়বেন এবং কত সময়ের মধ্যে পড়বেন, তা নির্ধারণ করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন। এই ছোট লক্ষ্যগুলো অর্জিত হলে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

 

সময় পরিকল্পনা করুন

সময় ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। একটি রুটিন তৈরি করুন এবং সেই অনুযায়ী পড়াশোনা করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

 

পড়ার কৌশল পরিবর্তন করুন

একই পদ্ধতিতে দীর্ঘ সময় পড়লে একঘেয়েমি আসতে পারে। তাই কখনো নোট তৈরি করুন, কখনো চিত্র বা চার্ট ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রঙিন কলম দিয়ে হাইলাইট করুন।

 

ইতিবাচক মনোভাব রাখুন

নিজের উপর আস্থা রাখুন। পড়ালেখায় কিছুটা চাপ অনুভূত হলে আত্মসমালোচনায় না গিয়ে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখুন।

 

পরিবার শিক্ষকের সাহায্য নিন

আপনার মনোযোগ ধরে রাখতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তা হলে পরিবারের সদস্য বা শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের দিকনির্দেশনা আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।

 সর্বোপরি, লেখাপড়াকে গভীরভাবে ভালোবাসতে হবে। তবেই না লেখাপড়ায় মনোযোগ থাকবে।গবেষণায় দেখা গেছে, মনোযোগ দিয়ে শোনা, দেখা, অনুশীলন এবং অধ্যয়নের মাধ্যমে কোনো বিষয়ের ৯৫ শতাংশ মনে রাখা সম্ভব। সুতরাং মনোযোগ দিয়ে শোনা, দেখা, হাতে-কলমে কাজ করার মাধ্যমে অনুশীলন, অর্থাৎ নিজে ব্যবহারিকভাবে কাজ করে এবং অধ্যয়নের মাধ্যমে বেশি পরিমাণে মনে রাখা যেতে পারে। জীবনের প্রতিটি পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এর অন্য কোনো বিকল্প নেই।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন:
লেখক, গবেষক ও স্কাউটার
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

শিক্ষকবায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্সমাস্টার্স) মাদরাসা

মোবাইলঃ ০১৮১৯৯৪৭৩৮৭, ই-মেইলঃsaifuddinbaitushsharaf@gmail.com