SSC
নবম ও দশম শ্রেণির প্রস্তুতি: বাংলা দ্বিতীয় পত্র
প্রিয় শিক্ষার্থী,
আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র থেকে ব্যাকরণ নিয়ে আলোচনা
করা হলো।
ধ্বনিতত্ত্ব
কিছু
সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ
দুই
বর্ণের যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ
ক্ক=ক্+ক : পাক্কা, ছক্কা, চক্কর
ক্ত=ক্+ত : রক্ত, শক্ত, ভক্ত
ক্ষ=ক্+ষ
: শিক্ষা, বক্ষ, রক্ষা
(উচ্চারণ ক্+খ-এর মতো)
ক্স=ক্+স : বাক্স
ঙ্খ=ঙ্+খ : শৃঙ্খলা, শঙ্খ
ঙ্গ=ঙ্+ঘ : সঙ্ঘ, লঙ্ঘন
চ্চ=চ্+চ : উচ্চ, উচ্চারণ, উচ্চকিত
চ্ছ=চ্+ছ : উচ্ছল, উচ্ছেদ
জ্জ=জ্+জ : উজ্জীবন, উজ্জীবিত
জ্ঝ=জ্+ঝ : কুজ্ঝটিকা
জ্ঞ=জ্+ঞ : জ্ঞান, সংজ্ঞা, বিজ্ঞান (উচ্চারণ ‘গগঁ্য’-এর মতো)
ঞ্চ=ঞ্+চ : অঞ্চল, সঞ্চয়, পঞ্চম
ঞ্ছ=ঞ্+ছ : বাঞ্ছিত, বাঞ্ছনীয়, বাঞ্ছা
ঞ্জ=ঞ্+জ : গঞ্জ, রঞ্জন, কুঞ্জ
ঞ্ঝ=ঞ্+ঝ : ঝঞ্ঝা, ঝঞ্ঝাট
বি. দ্র. : উপর্যুক্ত চারটি সংযুক্ত বর্ণের
উচ্চারণ ‘ন’ হলে এবং লেখার সময় কখনো ন্চ (অন্চল),
ন্ ছ (বান্ছা), নজ (গন্জ), নঝ (ঝন্ঝা) রূপে লেখা অপ্রাসঙ্গিক।
ট্ট=ট্+ট :
অট্টালিকা, চট্টোপাধ্যায়, চট্টগ্রাম
ড্ড=ড্+ড : গড্ডালিকা, উড্ডীন, উড্ডয়ন
ণ্ট=ণ্+ট : ঘণ্টা, বণ্টন
ত্ত=ত্+ত : উত্তম, বিত্ত, চিত্ত
ত্থ=ত্+থ : উত্থান, উত্থিত, অভ্যুত্থান
দ্দ=দ্ +দ : উদ্দাম, উদ্দীপক, উদ্দেশ্য
দ্ধ=দ্+ধ : উদ্ধত, উদ্ধৃত, পদ্ধতি
দ্ভ=দ্+ভ : উদ্ভব, উদ্ভট, উদ্ভিদ
ন্ত=ন+ত : অন্ত, দন্ত, কান্ত
ন্দ=ন+দ : আনন্দ, সন্দেশ, বন্দি
দ্ধ=ন+ধ : বন্ধন, রন্ধন, সন্ধান
ন্ন=ন্+ন : অন্ন, ছিন্ন, ভিন্ন
ন্ম=ন্+ম : জন্ম, আজন্ম
প্ত=প্+ত : রপ্ত, ব্যাপ্ত, লিপ্ত
প্প=প্+প : বাপ্পা, বাপ্পি
প্স=প্+স : লিপ্সা, অভীপ্সা
ব্দ=ব্+দ : অব্দ, জব্দ, শব্দ
ল্ক=ল্+ক : উল্কা, বল্কল
ল্গ=ল্+গ : ফাল্গুন
ল্ট=ল্+ট : উল্টা
ষ্ক=ষ্+ক : শুষ্ক, পরিষ্কার, বহিষ্কার
স্ক=স্+ক : স্কুল, স্কন্ধ
স্খ=স্+খ : স্খলন
স্ট=স+ট : আগস্ট, স্টেশন
স্ত=স্+ত : অস্ত, সস্ত, স্তব্ধ
স্ফ=স্+ফ : স্ফটিক, প্রস্ফুটিত
হ্ম=হ্+ম : ব্রহ্ম, ব্রাহ্মণ
এ ছাড়া বাংলা ভাষায় দুয়ের অধিক বর্ণ সংযোগেও কিছু সংযুক্ত বর্ণ গঠিত হয়। সূক্ষ্ম শব্দে ক্ষ্ম বর্ণ=ক্+ষ+ম-ফলা। স্বাতন্ত্র্য শব্দের ন্ত্র্য=ন+ত+র-ফলা ( ্র)+য-ফলা (্য) ইত্যাদি।
ড্ড=ড্+ড : গড্ডালিকা, উড্ডীন, উড্ডয়ন
ণ্ট=ণ্+ট : ঘণ্টা, বণ্টন
ত্ত=ত্+ত : উত্তম, বিত্ত, চিত্ত
ত্থ=ত্+থ : উত্থান, উত্থিত, অভ্যুত্থান
দ্দ=দ্ +দ : উদ্দাম, উদ্দীপক, উদ্দেশ্য
দ্ধ=দ্+ধ : উদ্ধত, উদ্ধৃত, পদ্ধতি
দ্ভ=দ্+ভ : উদ্ভব, উদ্ভট, উদ্ভিদ
ন্ত=ন+ত : অন্ত, দন্ত, কান্ত
ন্দ=ন+দ : আনন্দ, সন্দেশ, বন্দি
দ্ধ=ন+ধ : বন্ধন, রন্ধন, সন্ধান
ন্ন=ন্+ন : অন্ন, ছিন্ন, ভিন্ন
ন্ম=ন্+ম : জন্ম, আজন্ম
প্ত=প্+ত : রপ্ত, ব্যাপ্ত, লিপ্ত
প্প=প্+প : বাপ্পা, বাপ্পি
প্স=প্+স : লিপ্সা, অভীপ্সা
ব্দ=ব্+দ : অব্দ, জব্দ, শব্দ
ল্ক=ল্+ক : উল্কা, বল্কল
ল্গ=ল্+গ : ফাল্গুন
ল্ট=ল্+ট : উল্টা
ষ্ক=ষ্+ক : শুষ্ক, পরিষ্কার, বহিষ্কার
স্ক=স্+ক : স্কুল, স্কন্ধ
স্খ=স্+খ : স্খলন
স্ট=স+ট : আগস্ট, স্টেশন
স্ত=স্+ত : অস্ত, সস্ত, স্তব্ধ
স্ফ=স্+ফ : স্ফটিক, প্রস্ফুটিত
হ্ম=হ্+ম : ব্রহ্ম, ব্রাহ্মণ
এ ছাড়া বাংলা ভাষায় দুয়ের অধিক বর্ণ সংযোগেও কিছু সংযুক্ত বর্ণ গঠিত হয়। সূক্ষ্ম শব্দে ক্ষ্ম বর্ণ=ক্+ষ+ম-ফলা। স্বাতন্ত্র্য শব্দের ন্ত্র্য=ন+ত+র-ফলা ( ্র)+য-ফলা (্য) ইত্যাদি।
ধ্বনির পরিবর্তন (১৬টি)
ভাষার পরিবর্তন ধ্বনির পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ধ্বনি পরিবর্তন নানা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। যেমন_
ভাষার পরিবর্তন ধ্বনির পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ধ্বনি পরিবর্তন নানা প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। যেমন_
১.
স্বরাগম
ক) আদি স্বরাগম/চৎড়ঃযবংরং : উচ্চারণের সুবিধার জন্য বা অন্য কোনো কারণে
শব্দের আদিতে স্বরধ্বনি এলে তাকে বলে আদি স্বরাগম। যেমন_ স্কুল>ইস্কুল, স্টেশন>ইস্টিশন।
এরূপ : আনস্তাবল, আস্পর্ধা।
খ) মধ্য স্বরাগম, বিপ্রকর্ষ বা
স্বরভক্তি/অহধঢ়ঃুীরং : সময় সময় উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির
মাঝখানে স্বরধ্বনি আসে। একে বলা হয় মধ্য স্বরাগম বা বিপ্রকর্ষ বা স্বরভক্তি। যেমন_
অ : রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি।
ই : প্রীতি>পিরীতি, ক্লিপ>কিলিপ, ফিল্ম>ফিলিম ইত্যাদি।
উ : মুক্তা>মুকুতা, তুর্ক>তুরুক, ভ্রু>ভুরু ইত্যাদি।
এ : গ্রাম>গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ>সেরেফ ইত্যাদি।
ও : শ্লোক>শোলোক, মুরগ>মুরোগ>মোরগ ইত্যাদি।
অ : রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ ইত্যাদি।
ই : প্রীতি>পিরীতি, ক্লিপ>কিলিপ, ফিল্ম>ফিলিম ইত্যাদি।
উ : মুক্তা>মুকুতা, তুর্ক>তুরুক, ভ্রু>ভুরু ইত্যাদি।
এ : গ্রাম>গেরাম, প্রেক> পেরেক, স্রেফ>সেরেফ ইত্যাদি।
ও : শ্লোক>শোলোক, মুরগ>মুরোগ>মোরগ ইত্যাদি।
গ) অন্ত্যস্বরাগম/অঢ়ড়ঃযবংরং : কোনো কোনো সময় শব্দের শেষে অতিরিক্ত
স্বরধ্বনি আসে। এরূপ স্বরাগমকে বলা হয় অন্ত্যস্বরাগম। যেমন_ দিশ >দিশা, পোখত্
>পোক্ত, বেঞ্চ>বেঞ্চি, সত্য>সত্যি
ইত্যাদি।
২.
অপিনিহিতি/অঢ়বহঃযবংরং : পরের ই-কার আগে উচ্চারিত হলে
কিংবা যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির আগে ই-কার বা উ-কার উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।
No comments
Post a Comment