আছে নাকি উচ্চ রক্তচাপ? জানুন উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ, কারণ ও প্রতিকার
আছে নাকি উচ্চ রক্তচাপ? জানুন উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ, কারণ ও প্রতিকার
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, যারা উচ্চ রক্তচাপ এর ওষুধ নিয়মিত খান কিংবা যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই- সবারই কিন্তু আকস্মিক রক্তচাপ বাড়তে পারে। যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের জন্য এই আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধি বিপদের কারণ হতে পারে। যাদের রক্তচাপ নেই তাদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কিছু নিয়মকানুন মানলে ঠিক হয়ে যায়। তবে সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। রক্তচাপ শরীরে প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। এটি নির্ভর করে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম, শরীরের পজিশন, মানসিক অবস্থা ইত্যাদির ওপর। দিন-রাতের অবস্থাভেদেও রক্তচাপের পরিবর্তন হয়ে থাকে (গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলে রক্তচাপ সাধারণত কম থাকে এবং সকালের দিকে রক্তচাপ বেশি থাকে)। এক মিনিট ব্যবধানে রক্তচাপ মাপলে রক্তচাপের বিভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্রাম বা ব্যায়াম, চা, কফি, সিগারেট ইত্যাদি বিভিন্ন নিয়ামক রক্তচাপের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।
উচ্চ রক্তচাপ এর উপসর্গ
ক. রক্তচাপজনিত উপসর্গ · মাথাব্যথা (সাধারণত মাথার পেছনের অংশে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত মাথাব্যথা, যা কয়েক ঘণ্টা পর ভালো হয়ে যায়) · মাথা ঝিমঝিম করা · অবসাদগ্রস্ততা · বুক ধড়ফড় করা · যৌন দুর্বলতা খ. রক্তচাপজনিত রক্তনালির রোগ · নাক দিয়ে রক্ত পড়া · চোখে ঝাপসা দেখা · বুকে ব্যথা · শ্বাসকষ্ট (হৃদযন্ত্র বিকল হলে) গ. অন্যান্য রোগজনিত রক্তচাপ বৃদ্ধি · কিডনি রোগ · মাংসপেশির দুর্বলতা · অনিয়মিত ঘুম, নাকডাকা, দিনের বেলায় নিদ্রালুতা · বুক ধড়ফড় করা এবং হঠাৎ ঘাম · থাইরয়েডের সমস্যা · নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণ। রক্তচাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ: · ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস। · রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অধিক পিপাসা বোধ হওয়া- মূত্রতন্ত্রের রোগ বা অনালগ্রন্থিতন্ত্র (এন্ডোক্রাইন) রোগ নির্দেশ করে। · হঠাৎ মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা এবং শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঝিমঝিম করা- ফিওক্রোমোসাইটোমা। · মানসিক দুর্বলতা, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করা (অ্যাজমার শ্বাসকষ্টে অ্যালার্জিতে এটি ব্যবহৃত হয়)। · অন্যান্য রোগ যেমন : ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, কায়িক পরিশ্রমের অভাব রক্তচাপ বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
ক. রক্তচাপজনিত উপসর্গ
· মাথাব্যথা (সাধারণত মাথার পেছনের অংশে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত মাথাব্যথা, যা কয়েক ঘণ্টা পর ভালো হয়ে যায়)
· মাথা ঝিমঝিম করা
· অবসাদগ্রস্ততা
· বুক ধড়ফড় করা
· যৌন দুর্বলতা
খ. রক্তচাপজনিত রক্তনালির রোগ
· নাক দিয়ে রক্ত পড়া
· চোখে ঝাপসা দেখা
· বুকে ব্যথা
· শ্বাসকষ্ট (হৃদযন্ত্র বিকল হলে)
গ. অন্যান্য রোগজনিত রক্তচাপ বৃদ্ধি
· কিডনি রোগ
· মাংসপেশির দুর্বলতা
· অনিয়মিত ঘুম, নাকডাকা, দিনের বেলায় নিদ্রালুতা
· বুক ধড়ফড় করা এবং হঠাৎ ঘাম
· থাইরয়েডের সমস্যা
· নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণ।
রক্তচাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ:
· ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস।
· রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অধিক পিপাসা বোধ হওয়া- মূত্রতন্ত্রের রোগ বা অনালগ্রন্থিতন্ত্র (এন্ডোক্রাইন) রোগ নির্দেশ করে।
· হঠাৎ মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা এবং শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঝিমঝিম করা- ফিওক্রোমোসাইটোমা।
· মানসিক দুর্বলতা, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করা (অ্যাজমার শ্বাসকষ্টে অ্যালার্জিতে এটি ব্যবহৃত হয়)।
· অন্যান্য রোগ যেমন : ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, কায়িক পরিশ্রমের অভাব রক্তচাপ বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
উচ্চ রক্তচাপ এর কারন
ক্ষণস্থায়ী রক্তচাপ বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তার পরও একে অবহেলা করা উচিত নয়। আবার বেশ কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের মতে, রক্তচাপের এই হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বেশ কিছু কারণে হতে পারে। · ব্যথার ওষুধ (অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রুফেন জাতীয়), গর্ভনিরোধক পিল, নেশাজাতীয় বস্তু যেমন- কোকেন, অ্যামফিটামিন ইত্যাদি গ্রহণ করা।
হরমোনজনিত কিছু রোগ। · কিডনি রোগ যেক্ষেত্রে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। · গর্ভাবস্থায় গর্ভজনিত জটিলতা। · ব্লাড প্রেশারের রোগী যিনি ব্লাড প্রেশারের বড়ি অনিয়মিতভাবে গ্রহণ করে থাকেন। · রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা। যদিও অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে সবার রক্তচাপ বাড়ে না; তার পরও খাদ্যাভ্যাস (ভাতের সঙ্গে পাতে অতিরিক্ত লবণ নেওয়া), ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ- শরীরে অতিরিক্ত লবণ ঢুকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তা ছাড়া ভূরিভোজন নাড়ির গতি ও রক্তচাপ বাড়ায়। · মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন তৈরি হয়। হৃৎপিণ্ড দ্রুত কাজ করে। রক্তনালি সংকুচিত হয়ে ব্যাসার্ধ কমে চিকন হয়ে যায়। এভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আমেরিকান আয়াট্রোজেনিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডাক্তারের কাছে গেলে ভয় ও মানসিক চাপে ২৫ ভাগ রোগীর রক্তচাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। একে হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন বলা হয়। · ২০০৭ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে বলা হয়, মাত্র একটি সিগারেট গ্রহণ রক্তনালির ওপর নিকোটিনিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট। এতে রক্তনালি শক্ত হয়ে যায়। রক্তসংবহনতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়, একই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপ এর প্রতিকার · হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ সেবন করা। · ওজন কমানো। বডি ম্যাস ইনডেক্স বা বিএমআই ২৫-এর নিচে রাখা · লবণ কম খাওয়া। · মদ্যপান বা নেশাদ্রব্য গ্রহণ না করা। · প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা। · চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া। · প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া। · মাছ বেশি খাওয়া। · ধূমপান পরিত্যাগ করা। · ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া) নিয়ন্ত্রণে রাখা। · ঘন ঘন রক্তচাপ পরিমাপ না করা। · হাসিখুশি ও প্রফুল্ল থাকা। বন্ধু-পরিজনসহ সুখী জীবন-যাপনের চেষ্টা করা। · মানসিক অবসাদগ্রস্ততা দূর করা। · উচ্চমাত্রার ওষুধ গ্রহণ করে হঠাৎ রক্তচাপের অতিরিক্ত না কমিয়ে ফেলা। · যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া।
ক্ষণস্থায়ী রক্তচাপ বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তার পরও একে অবহেলা করা উচিত নয়। আবার বেশ কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের মতে, রক্তচাপের এই হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বেশ কিছু কারণে হতে পারে।
· ব্যথার ওষুধ (অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রুফেন জাতীয়), গর্ভনিরোধক পিল, নেশাজাতীয় বস্তু যেমন- কোকেন, অ্যামফিটামিন ইত্যাদি গ্রহণ করা।
হরমোনজনিত কিছু রোগ।
হরমোনজনিত কিছু রোগ।
· কিডনি রোগ যেক্ষেত্রে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।
· গর্ভাবস্থায় গর্ভজনিত জটিলতা।
· ব্লাড প্রেশারের রোগী যিনি ব্লাড প্রেশারের বড়ি অনিয়মিতভাবে গ্রহণ করে থাকেন।
· রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা। যদিও অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে সবার রক্তচাপ বাড়ে না; তার পরও খাদ্যাভ্যাস (ভাতের সঙ্গে পাতে অতিরিক্ত লবণ নেওয়া), ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ- শরীরে অতিরিক্ত লবণ ঢুকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তা ছাড়া ভূরিভোজন নাড়ির গতি ও রক্তচাপ বাড়ায়।
· মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন তৈরি হয়। হৃৎপিণ্ড দ্রুত কাজ করে। রক্তনালি সংকুচিত হয়ে ব্যাসার্ধ কমে চিকন হয়ে যায়। এভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আমেরিকান আয়াট্রোজেনিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডাক্তারের কাছে গেলে ভয় ও মানসিক চাপে ২৫ ভাগ রোগীর রক্তচাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। একে হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন বলা হয়।
· ২০০৭ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে বলা হয়, মাত্র একটি সিগারেট গ্রহণ রক্তনালির ওপর নিকোটিনিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট। এতে রক্তনালি শক্ত হয়ে যায়। রক্তসংবহনতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়, একই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপ এর প্রতিকার
· হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ সেবন করা।
· ওজন কমানো। বডি ম্যাস ইনডেক্স বা বিএমআই ২৫-এর নিচে রাখা
· লবণ কম খাওয়া।
· মদ্যপান বা নেশাদ্রব্য গ্রহণ না করা।
· প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা।
· চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
· প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া।
· মাছ বেশি খাওয়া।
· ধূমপান পরিত্যাগ করা।
· ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া) নিয়ন্ত্রণে রাখা।
· ঘন ঘন রক্তচাপ পরিমাপ না করা।
· হাসিখুশি ও প্রফুল্ল থাকা। বন্ধু-পরিজনসহ সুখী জীবন-যাপনের চেষ্টা করা।
· মানসিক অবসাদগ্রস্ততা দূর করা।
· উচ্চমাত্রার ওষুধ গ্রহণ করে হঠাৎ রক্তচাপের অতিরিক্ত না কমিয়ে ফেলা।
· যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া।
No comments
Post a Comment