Project’s Name: Low Cost CNC (Computer Numerical Control) Machine
(কম্পিউটার সংখ্যাসূচক নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র)
 |
| Low Cost CNC Machine |
এটি কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে মেশিন টুলের অটোমেশন। এটি ম্যানুয়াল হ্যান্ড হুইলস বা লিভারস দ্বারা পরিচালিত হয়, অথবা যান্ত্রিকভাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামের দ্বারা পরিচালিত হয়।
কিন্তু আমাদের এই সিএনসি মেশিনটি সহজভাবে উপস্থাপনের জন্য একটি পেন হোল্ডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
উপকরণ:- ১- দুইটি ডি ভি ডি রাইটার।
২- ৮ টি স্ক্রু, ১৬ টি ওয়াসা, ১৬ টি বোল্ট।
৩- Male, Female জাম্পার ৪ টি করে ৮টি।
৪- Zero PCB বোর্ড।
৫ - Arduino Nano (1p).
৬- L293D IC (2p).
৭- Small sarvo motor (1p).
৮-USB female (1p).
৯- ১গজ সার্ভিস তার।
১০- 5V-2A অ্যাডাপ্টার।
১১- কাঠ / প্লাস্টিকের বোর্ড।
১২- পেন হোল্ডার।
সফটওয়্যার সমূহ:
(Software downloading link)
1- Arduino (http://www.arduino.cc/main/software)
2- Inkspace (http://inkspace.org/en/download)
3-gcode_executer (http://gcode_executer/download)
4- Processing (http://download. processing.
org/processing-3.2.1.windows64.zip)
তৈরি পদ্ধতি :-
১- প্রথমে ডি ভি ডি রাইটার গুলো খুলে এর যে অংশে স্টেপার মোটর আছে সেই অংশটি আলাদা করে নিতে হবে।
২- সাইজমতো কাঠ কেটে স্টেপার মোটর বসানোর উপযোগী করে নাট, বোল্ট দিয়ে স্টেপার মোটর বসাতে হবে।
৩-স্টেপার মোটর গুলো X ও Y অক্ষ অনুসারে বসাতে হবে। স্টেপার মোটরের সাথে Male বেস সংযোগ করতে হবে।
৪-X অক্ষের স্টেপার মোটরের যে অংশে আনুভূমিকভাবে লেজার থাকে সেই অংশে পেন হোল্ডারটি সুবিধা মতো বসাতে হবে।
৫- পেন হোল্ডারের পাশে সার্ভো মোটর স্থাপন করতে হবে।
৬-চিত্রে নির্দেশিত ডায়াগ্রাম অনুসারে Arduino ও L293D Ic দ্বারা একটি সার্কিট তৈরি করতে হবে।
৭- স্টেপার মোটরদ্বয় ও সার্ভো মোটর তৈরিকৃত সার্কিটে সংযোগ করতে হবে।
৮- কম্পিউটারের Arduino সফটওয়্যারটি ওপেন করে সার্কিট এর Arduino তে প্রোগ্রাম রান করাতে হবে।
৯- gcode_executer সফটওয়্যার ওপেন করে processing সফটওয়্যার এর মাধ্যমে সার্কিট এ ইনপুট প্রদান করতে হবে।
কার্যকারিতা:
মেশিনটি একাধিক অক্ষ বরাবর নিয়ন্ত্রিত হয়। বর্তমানে আমাদের সিএনসি মেশিনটি দুটি অক্ষ ( X, Y) ব্যবহার করা হয়েছে।কম্পিউটার হতে প্রদত্ত ইনপুট কোড সিএনসি মেশিন পাওয়া মাত্রই সে সেই ইনপুট কোড অনুযায়ী আউটপুট দেয়। আর এখানে সিএনসি মেশিনের ইনপুট ও আউটপুটের মধ্যে সম্পূর্ণ মিল থাকে, যা অন্য কোন ডিজাইনের যন্ত্রে হয় না। কোন মেশিনই ছবি বুঝে না, তারা বুঝে কোড, তাই প্রদত্ত ডিজাইনটি জি কোড এ রুপান্তর করতে হয়। আর জি কোড সিএনসিতে ইনপুট দেয়া মাত্রই সে আমাদেরকে সঠিক আউটপুট দিবে।
উপযোগিতা:
১- কম খরছে আমরা যে কোন 2D/3D ডিজাইন করতে পারবো।
২-Wood drill ব্যবহার করে আমরা এর দ্বারা কাঠেও ডিজাইন করতে পারবো।
৩-BurnLaser ব্যবহার করে আমরা এর দ্বারা স্টীল ও লোহাতেও ডিজাইন করতে পারবো
৪-সিএনসি মেশিনের কোন বিশ্রামের প্রয়োজন নেই। প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা, মাসের পর মাস একাধারে কাজ করতে পারে। কেবল এটির রক্ষণাবেক্ষণ বা মেরামতের জন্য কাজ বন্ধ করা হয়।
৫- এর কর্মপরিধি প্রচুর। একটি সিএনসি মেশিনে প্রোগ্রাম রান করার পর একই ডিজাইন হাজার হাজার বার উৎপাদন করা যাবে, হাজার হাজার ভিন্ন ডিজাইনও প্রস্তত করা যাবে, যার সব কিছুই। অপরিবর্তিত থাকবে। ফলস্বরূপ এর কর্মপরিধি অবিশ্বাস্য।
৬- সিএনসি মেশিনটি যদি আপডেট করা হয় তবে সি এন সি মেশিন এমন আউটপুট দিতে পারবে যা সাধারণ ম্যানুয়াল মেশিন দ্বারা সম্ভব নয়।
৭- একাধিক সিএনসি মেশিনের কাজ নিরীক্ষণ করতে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তিই যথেষ্ট। মেশিনে শুধুমাত্র একবার প্রোগ্রাম রান করলে তারা নিজেরাই কাজ করে যায়। যা জনশক্তি সংরক্ষণে ব্যপকভাবে সাহায্য করবে।
৮:সিএনসি মেশিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর ডিজাইনের ইনপুট ও আউটপুটের সাথে সম্পূর্ণ সঠিকভাবে মিলে। যা অন্য কোন ডিজাইনের মেশিনে সম্ভব নয়।
৯- সাধারণত সিএনসি মিলের মুল মেশিজে বিদ্যুত প্রয়োজন হয় ২২০ ভোল্ট, কিন্তু আমাদের এই সিএনসি মেশিনে শুধু মাত্র ১০ ভোল্ট বিদ্যুত প্রয়োজন।
১০- সাধারণত সিএনসি মিলে যে মেশিন গুলো ব্যবহার করা হয় তার দাম হচ্ছে ৭২০০০০-৩৬০০০০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের এর সিএনসি মেশিনের খরচ শুধুমাত্র ২০০০ টাকা। যা সিএনসি মিলের দামের কাছে কিছুই না।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা :
বর্তমানে সিএনসি মিলের সিএনসি মেশিনের দাম বাংলাদেশি টাকায় ৭২০০০০-৩৬০০০০০ টাকা। যা বাংলাদেশের সাধারণ ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষদের পক্ষে ক্রয় করা কিংবা তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য। কিন্তু আমাদের এই Low cost CNC Machine টি 3D তে আপডেট করার পর সর্বোমোট খরচ যাবে সর্বোচ্ছ ২৫০০-৩০০০ টাকা। যা সিএনসি মিলের মুল মেশিনের কাছে কিছুই না। ফলস্বরূপ ব্যাপক পরিমাণের অর্থ সঞ্চয় হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: একটা ভালো মানের ক্রেষ্ট অর্ডার দিয়ে বানাতে খরচ হয় ১৫০০-২০০০ টাকা। কিন্তু আমাদের এই সিএনসি মেশিনটি ৩০০০ টাকা দিয়ে তৈরি করে উক্ত মেশিনটি দ্বারা হাজার হাজার ক্রেষ্ট বানানো সম্ভব। যা আমাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক। এছাড়াও মেশিনটি যেহেতু বহনযোগ্য তাই এটি যে কোন জায়গায় যেকোন সময়ে ব্যবহার করা যাবে।
ব্যবসায়িকভাবে এই মেশিনটি পরিপূর্ণতা পেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক হতে অনেক বেশি সচ্ছল হবে ও বেকারত্বের পরিমান কমবে।
No comments