Header Ads


শীতের জন্য ৫ জাদুকরী খাবার

শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ঠান্ডা-কাশি দূর করতে খাদ্যতালিকায় চর্বিহীন প্রোটিন, ননিহীন দুধ, গমের তৈরি রুটি রাখা উচিত। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, কম মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো শীতে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এই খাবারগুলোর নাম।

শীতের জন্য ৫ জাদুকরী খাবার

১. গাজর 
গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ। গাজর ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সাহায্য করে। গাজরকে স্যুপ করে খেতে পারেন অথবা সালাদ করেও খেতে পারেন। এ ছাড়া গাজরের জুসও খাওয়া যেতে পারে।
২. গ্রিন টি
গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া ক্যামোমিল টি খেতে পারেন। এর মধ্যেও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শীতে ঠান্ডা ও ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে।

৩. মাশরুম
মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙোগ লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী।
৪. রসুন
জ্বর ও ঠান্ডার জন্য রসুন খাওয়া ভালো। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তবে হজমে সমস্যা হলে রসুন রান্না করেও খেতে পারেন।
৫.মধু 
জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে বা সকালের নাশতায় মধু খেতে পারেন। ভালো হয় এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে। তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খান।

→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→

আছে নাকি উচ্চ রক্তচাপ? জানুন উচ্চ রক্তচাপের উপসর্গ, কারণ ও প্রতিকার


যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, যারা উচ্চ রক্তচাপ এর ওষুধ নিয়মিত খান কিংবা যাদের উচ্চ রক্তচাপ নেই- সবারই কিন্তু আকস্মিক রক্তচাপ বাড়তে পারে। যারা আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাদের জন্য এই আকস্মিক রক্তচাপ বৃদ্ধি বিপদের কারণ হতে পারে। যাদের রক্তচাপ নেই তাদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় কিছু নিয়মকানুন মানলে ঠিক হয়ে যায়। তবে সব সময় ঠিক নাও হতে পারে। রক্তচাপ শরীরে প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। 
এটি নির্ভর করে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম, শরীরের পজিশন, মানসিক অবস্থা ইত্যাদির ওপর। দিন-রাতের অবস্থাভেদেও রক্তচাপের পরিবর্তন হয়ে থাকে (গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকলে রক্তচাপ সাধারণত কম থাকে এবং সকালের দিকে রক্তচাপ বেশি থাকে)। এক মিনিট ব্যবধানে রক্তচাপ মাপলে রক্তচাপের বিভিন্নতা দেখা যায়। বিশ্রাম বা ব্যায়াম, চা, কফি, সিগারেট ইত্যাদি বিভিন্ন নিয়ামক রক্তচাপের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।


উচ্চ রক্তচাপ এর উপসর্গ

ক. রক্তচাপজনিত উপসর্গ
·         মাথাব্যথা (সাধারণত মাথার পেছনের অংশে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিয়মিত মাথাব্যথা, যা কয়েক ঘণ্টা পর ভালো হয়ে যায়)
·         মাথা ঝিমঝিম করা
·         অবসাদগ্রস্ততা
·         বুক ধড়ফড় করা
·         যৌন দুর্বলতা
খ. রক্তচাপজনিত রক্তনালির রোগ
·         নাক দিয়ে রক্ত পড়া
·         চোখে ঝাপসা দেখা
·         বুকে ব্যথা
·         শ্বাসকষ্ট (হৃদযন্ত্র বিকল হলে)
গ. অন্যান্য রোগজনিত রক্তচাপ বৃদ্ধি
·         কিডনি রোগ
·         মাংসপেশির দুর্বলতা
·         অনিয়মিত ঘুম, নাকডাকা, দিনের বেলায় নিদ্রালুতা
·         বুক ধড়ফড় করা এবং হঠাৎ ঘাম
·         থাইরয়েডের সমস্যা
·         নিষিদ্ধ ওষুধ গ্রহণ।
রক্তচাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রোগ:
·         ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন বা ক্রনিক পায়েলোনেফ্রাইটিস।
·         রাতের বেলা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া এবং অধিক পিপাসা বোধ হওয়া- মূত্রতন্ত্রের রোগ বা অনালগ্রন্থিতন্ত্র (এন্ডোক্রাইন) রোগ নির্দেশ করে।
·         হঠাৎ মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা এবং শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে মাথা ঝিমঝিম করা- ফিওক্রোমোসাইটোমা।
·         মানসিক দুর্বলতা, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করা (অ্যাজমার শ্বাসকষ্টে অ্যালার্জিতে এটি ব্যবহৃত হয়)।
·         অন্যান্য রোগ যেমন : ডায়াবেটিস, রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি, কায়িক পরিশ্রমের অভাব রক্তচাপ বাড়ানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

উচ্চ রক্তচাপ এর কারন

ক্ষণস্থায়ী রক্তচাপ বৃদ্ধি অনেক ক্ষেত্রেই পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তার পরও একে অবহেলা করা উচিত নয়। আবার বেশ কিছুদিন বা কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। হার্ভার্ড হেলথ পাবলিকেশনের মতে, রক্তচাপের এই হঠাৎ বেড়ে যাওয়া বেশ কিছু কারণে হতে পারে।
·         ব্যথার ওষুধ (অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রুফেন জাতীয়), গর্ভনিরোধক পিল, নেশাজাতীয় বস্তু যেমন- কোকেন, অ্যামফিটামিন ইত্যাদি গ্রহণ করা।
হরমোনজনিত কিছু রোগ।
·         কিডনি রোগ যেক্ষেত্রে কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমে যায়।
·         গর্ভাবস্থায় গর্ভজনিত জটিলতা।
·         ব্লাড প্রেশারের রোগী যিনি ব্লাড প্রেশারের বড়ি অনিয়মিতভাবে গ্রহণ করে থাকেন।
·         রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার একটি প্রধান কারণ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা। যদিও অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে সবার রক্তচাপ বাড়ে না; তার পরও খাদ্যাভ্যাস (ভাতের সঙ্গে পাতে অতিরিক্ত লবণ নেওয়া), ফাস্ট ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ- শরীরে অতিরিক্ত লবণ ঢুকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। তা ছাড়া ভূরিভোজন নাড়ির গতি ও রক্তচাপ বাড়ায়।
·         মানসিক চাপের কারণে শরীরে হরমোন তৈরি হয়। হৃৎপিণ্ড দ্রুত কাজ করে। রক্তনালি সংকুচিত হয়ে ব্যাসার্ধ কমে চিকন হয়ে যায়। এভাবে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আমেরিকান আয়াট্রোজেনিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডাক্তারের কাছে গেলে ভয় ও মানসিক চাপে ২৫ ভাগ রোগীর রক্তচাপ এমনিতেই বেড়ে যায়। একে হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন বলা হয়।
·         ২০০৭ সালে প্রকাশিত আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশনে বলা হয়, মাত্র একটি সিগারেট গ্রহণ রক্তনালির ওপর নিকোটিনিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট। এতে রক্তনালি শক্ত হয়ে যায়। রক্তসংবহনতন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, নাড়ির স্পন্দন বেড়ে যায়, একই সঙ্গে রক্তচাপও বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপ এর প্রতিকার
·            হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে ডাক্তারের পরামর্শে ঘুমের ওষুধ সেবন করা।
·            ওজন কমানো। বডি ম্যাস ইনডেক্স বা বিএমআই ২৫-এর নিচে রাখা
·            লবণ কম খাওয়া।
·            মদ্যপান বা নেশাদ্রব্য গ্রহণ না করা।
·            প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট জোরে জোরে হাঁটা।
·            চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
·            প্রচুর ফল ও শাকসবজি খাওয়া।
·            মাছ বেশি খাওয়া।
·            ধূমপান পরিত্যাগ করা।
·            ডায়াবেটিস, হাইপারলিপিডেমিয়া (রক্তে অতিরিক্ত চর্বি জমা হওয়া) নিয়ন্ত্রণে রাখা।
·            ঘন ঘন রক্তচাপ পরিমাপ না করা।
·            হাসিখুশি ও প্রফুল্ল থাকা। বন্ধু-পরিজনসহ সুখী জীবন-যাপনের চেষ্টা করা।
·            মানসিক অবসাদগ্রস্ততা দূর করা।
·            উচ্চমাত্রার ওষুধ গ্রহণ করে হঠাৎ রক্তচাপের অতিরিক্ত না কমিয়ে ফেলা।
·            যথেষ্ট বিশ্রাম নেওয়া।
→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→

১০টি উপায়ে আটকান যাত্রাপথে বমিভাব


যাত্রাপথে বমিভাব আমাদের অনেকেরই সমস্যা। আমরা অনেকেই জানি না যাত্রাপথে বমিভাব কিভাবে আটকাব, কিভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব!

বাস বা ট্রেনের ঝাঁকুনি, লঞ্চের দুলুনি এবং বিমানের শূন্যতার কারণেই মূলত এই সমস্যায় পড়েন অনেকে। পেটে অসস্তিকর অনুভূতি, মাথা ঘোরানো, কানে ভোঁ ভোঁ করতে থাকা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। অনেক কারণে বমি হতে পারে। যেমন- কেউ ভীষণ অসুস্থ হলে, বিষাক্ত কিছু খেলে, বাজে গন্ধ বা বাজে স্বাদের খাবারের কারণে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বা কোনো কারণে খাদ্যনালী বন্ধ হয়ে গেলেও বমি হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম বা মোশন সিকনেসের কারণেও  যাত্রাপথে বমিভাব  হতে পারে।
তবে মোশন সিকনেস ভ্রমণের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এক ধরনের মস্তিকের সমস্যার কারণে এটা হতে পারে। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেট কার বা ইঞ্চিনচালিত এ ধরনের বাহনগুলিতে  যাত্রাপথে বমিভাব  হতে পারে। অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে।

 যাত্রাপথে বমিভাব রোধের ১০ টি উপায়

যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস। এ কারণে তৈরি হয় বমি বমি ভাব, সেই সঙ্গে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি। আজকে জেনে নিন এই মোশন সিকনেস থেকে বাঁচতে অর্থাৎ বাস বা ট্রেন ধরণের বাহনে উঠলে বমিভাব দূর করার খুবই সাধারণ কিন্তু কার্যকরী উপায়গুলো…
১) বাহনে উঠার আগে কি খাওয়া উচিত এবং উচিত নয় সেদিকে নজর দিন। অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস, ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। যারা এই সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে কিছু না খেয়েই বাহনে উঠুন। অনেক দূরের পথ হলে হালকা শুকনো কিছু খেয়ে নিন।
২) অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বাহন চলাকালীন সময়ে কিছু খেতে চাইলে শুকনো চিপস ধরণের খাবার অল্প পরিমাণে খাবেন। পানি পান করবেন।
৩) বাহন যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিকে কখনোই বসবেন না। এতে উলটো মোশনের কারণে বমিভাব প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।
৪) বাসে বসার ক্ষেত্রে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে ঝাঁকুনি বেশী লাগে যা অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৫) যতোটা সম্ভব চলার পথের সমতলে নজর রাখুন। বাইরের দৃশ্য দেখায় মনোযোগ দিন। নিচের দিকে বা উপরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকলেও বমিভাব ও অস্বস্তি হয়।
৬) যাদের মোশন সিকনেস রয়েছে তারা বাহনে উঠে চলার সময় কোনো বই পড়া বা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে কিছু দেখার চেষ্টা করবেন না। এতে আরও অস্বস্তি হতে থাকবে।
৭) বদ্ধ স্থানে আরও বেশী সমস্যা হয়। তাই বাস বা ট্রেনে উঠলে জানালার পাশে বসে তাজা বাতাস গ্রহন করতে পারলে এই বমিভাব আপনা থেকেই কেটে যায়। বিমানের জন্য বা বড় ফিক্সড জানালার এসি বাসের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
৮) চলার পথে অন্যান্য যাত্রীদের কাউকে অসুস্থ হয়ে বমি করতে দেখলে অবস্থা আরও বেশী খারাপ হয়ে যায়, তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে বাইরের দিকে মনোযোগ দিন অথবা চোখ বন্ধ করে গান শুনতে থাকুন।
৯) ঘুমিয়ে পড়া হচ্ছে সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। ঘুমিয়ে পড়তে পারেন এই অস্বস্তিকর অনুভূতি থেকে বাঁচতে। ভালো কাজে দেবে।
১০) বমিভাব দূর করার জন্য বাহনে উঠার আগেই এই জাতীয় ঔষধ খেয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার খুব অল্প দূরত্বের জন্য এবং ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকে তাহলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাবেন।

→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→

পনির খেয়েই কি ঠেকানো সম্ভব ডায়াবেটিস

দৈনিক মাত্র দু’টুকরা অর্থাত ৫৫ গ্রাম করে পনির খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা ১২ শতাংশ কমে যা বলে এক সমীক্ষা দেখা গেছে । নতুন এক গবেষণা বলা হয়েছে,ডাবেটিস ঠেকাতে সহাতা করে পনির।

সঠিক সময়ে ধরা না পলে ডায়াবেটিস থেকে হৃদরোগ, স্ট্রোক, অন্ধত্ব এবং স্নায়ুর সমস্যাসহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। পনির সংক্রান্ত গবেষণার এ ফলাফলের পাশাপাশি অবশ্য এ কথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, বর্তমানে চিকিসকরা স্বাস্থ্য রক্ষার যে রূপরেখা তুলে ধরছেন তাতে দুগ্ধজাত পণ্য যথাসম্ভব বাদ দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ডায়াবেটিস রোধে পনির খাওয়ার উপকারিতা

নতুন এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান জার্নাল অব নিউট্রিশন নামের সাময়িকীতে। এতে বলা হয়েছে, যারা দিনে ৫৫ গ্রাম অর্থাত প্রা দু’ টুকরা পনির খান তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা ১২ শতাংশ হ্রাস পা। অবশ্য যারা দিনে ৫৫ গ্রাম দই খান তাদেরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা একই পরিমাণ কমে যা। আটটি ইউরোপী দেশের ১৬,৮০০ সুস্থ এবং ১২,৪০০ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর খাদ্য নিয়ে গবেষণা চালিয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ব্রিটিশ ও ডাচ চিকিসা বিজ্ঞানীরা।
পনির ও দই
য়ে তথাকথিত প্রোবাইওটিক ব্যাকটেরিয়া আছে। এসব ব্যাকটেরিয়া একদিকে দেহে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমা অন্যদিকে কিছু কিছু ভিটামিন উপাদন করে যা ডায়াবেটিস ঠেকাতে সাহায্য করে।
অবশ্য এ গবেষণার ফলাফল প
ড়ার পর টাইপ-২ ডায়াবেটিস ঠেকানোর জন্য খেয়াল খুশিমত পনির ও দই খাওয়া শুরু করা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এ ছাড়া, চিকিসক যাদেরকে এ জাতী খাবার-দাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তাদের জন্য চিকিসকের বিনা পরামর্শে পনির খাওয়া ঠিক হবে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

 →→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→

হয়ে উঠুন সকালের পাখি এই ছোট্ট কিছু নিয়ম মেনে



সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ার মতন দুরূহ কাজ খুব কমই আছে। বিশেষ করে যদি আপনি হয়ে থাকেন রাত জাগা আড্ডাবাজ প্যাঁচা কিংবা অনিদ্রায় ভোগা রোগী। তবে তারপরেও ছেলে থেকে বুড়ো সবার জন্যে রয়েছে কিছু ছোট্ট আর সহজ উপায় যেগুলো অনুসরণ করলে আরো অনেকের মতন আপনিও জেগে উঠতে পারবেন একদম সকালবেলা। কি সেই উপায়গুলো? চলুন জেনে নিই আর দ্রুত লাগিয়ে ফেলি কাজে।
১. কারণ তৈরি করা
কোন একটা কাজ করার তাগিদ কখন অনুভব করে মানুষ? যখন এটা সে বোঝে যে তার এই কাজের পেছনে রয়েছে যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ। আর তাই সকালে জেগে ওঠার পেছনেও ভাবুন আপনি ঠিক কী কারণকে এগিয়ে রাখবেন। কেন সকালে উঠতে চাইছেন আপনি? একটু বাড়তি সময় পাওয়া, বাড়তি কাজ করা, শরীরচর্চা করা, বাইরে খানিক সময় শান্ত পরিবেশে ঘুরতে পারা- এসবের কোন একটা? কোনটা? নিজের সকালে দ্রুত জাগবার পেছনের কারণটি বাছুন আর বিশ্বাস করান নিজের মনকে যে এই কাজটি আপনাকে করতেই হবে ( লাইফহ্যাক )। আর সেজন্যে সকালেও উঠতে হবে। দেখবেন সকালে জাগতে আর খুব একটা কষ্ট হচ্ছেনা আপনার।
২. পরিমাণমত বিশ্রাম নেওয়া ও ঘুমানো
মানুষ সকালে উঠতে পারেনা অনেক সময় নিজের শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদের জন্যে। কিন্তু কোথা থেকে আসে এই ক্লান্তি আর অবসাদ? অবশ্যই অপরিমিত ঘুম আর অনিয়মিত জীবন যাপনের কারণে। প্রতিটি মানুষেরই দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের চাহিদা থাকে। সেটুকু না ঘুমোলে আপনার শরীর নিজ থেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তাই পরিমিত ঘুমান। চেষ্টা করুন এই নিয়মটি সবসময় মেনে চলতে। দরকার পড়লে সন্ধ্যাকালীন সময়ে নিয়ে নিন খানিকটা বিশ্রামও। আর ঘুমের সময় পাশ থেকে সরিয়ে রাখুন প্রযুক্তির সব ধরনের নিদর্শন, যেমন- মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্যকিছুকে।
৩. ঘড়িকে সরিয়ে রাখা
খুব সহজ এই কৌশলটি সমজেই উঠতে সাহায্য করবে আপনাকে সকালবেলায় চোখে চেপে বসা রাজ্যের ঘুম থেকে। আর কৌশলটি হচ্ছে ঘড়িতে এ্যালার্ম দিয়ে সেটাকে ঘরের আরেক কোনায় রেখে দেওয়া ( এন্টারপ্রেনার )। যেখান থেকে এ্যালার্মের শব্দ পুরোটা পাওয়া গেলেও বিছানা থেকে না উঠে ধরতে পারা যায়না ঘড়িকে। এতে করে ঘড়ির শব্দে বিরক্ত হয়ে উঠতে আপনাকে হবেই বিছানা থেকে। আর ছাড়তে হবে ঘুম।
৪. কাজ করা
যদি এমন হয় যে বিছানায় যাওয়ার পরেও ঘুম আসছে না আপনার, তাহলে ৩০ মিনিট পর উঠে পরুন। কোন কজে ব্যস্ত হয়ে যান। খুব বেশি কড়া আলো নয়, বরং স্নিগ্ধ আর নরম আলোয় বসে কাজ করতে থাকুন শান্তভাবে। খানিক বাদে দেখবেন নিজ থেকেই ঘুম নেমে আসছে আপনার চোখে।
৫. ব্রাশ করা
শুনতে একটু অদ্ভূত লাগলেও সত্যি যে ঘুম তাড়াবার একটি অন্যতম অভিনব উপায় হচ্ছে দাঁত ব্রাশ করা। আর তাই এ্যালার্মের শব্দে ঘুমটা পাতলা হতেই পেস্ট ব্রাশে লাগিয়ে মেজে দিন দাঁত। ঘুম পালিয়ে যাবে অনেকটা!

→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে এই ৭টি খাবার
সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ ভালো প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদেরকে সুস্থ ও রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে দেহকে রক্ষা করতে প্যাথোজেন এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে। বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। আবার অন্যদিকে এমন কিছু খাবার আছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিয়ে আমাদের অসুস্থ করে তুলতে পারে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যেন সঠিকভাবে কাজ করে তা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের জন্য ঘুম এবং শারীরিক ব্যায়ামের যেমন গুরুত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি খাবারেরও গুরুত্ব রয়েছে।
এখানে কিছু খাবারের সম্পর্কে বলা হচ্ছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই রোগ মুক্ত জীবন যাপনের জন্য চেষ্টা করতে হবে এসব খাবারগুলো বর্জন করতে।
কফি
যদিও কফিতে থাকা ক্যাফেইনের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তবুও এটি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার জন্য ক্ষতিকর। অনেক বেশি পরিমান ক্যাফেইন গ্রহন করার ফলে তা ভালো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে যা দুর্বল প্রতিরোধক ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত।
সোডা জাতীয় পানীয়
সোডা জাতীয় পানীয় প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে। এসব পানীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটায় এবং এতে থাকা ফসফরিক এসিড দেহের ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমান কমিয়ে দেয়।
তেলে ভাজা খাবার
তেলে ভাজা খাবার শুধু দেহের ওজনই বৃদ্ধি করে না সেই সাথে তা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয়। তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তেলে ভাজা খাবার বর্জন করুন
লাল মাংস
সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গেছে যে দেহে লাল মাংস ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। লাল মাংসে থাকা প্রাকৃতিক চিনি হজম করা শরীরের জন্য বেশ কঠিন এবং এটি ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। লাল মাংস বলতে সাধারণত গরু, খাসি, ভেড়া ইত্যাদির মাংসকে বোঝানো হয়ে থাকে।
প্রক্রিয়াজাত করা খাবার
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্টকারী খাবারের মাঝে শীর্ষে রয়েছে এই প্রক্রিয়াজাত করা খাবার। এসব খাবারের উপাদান গুলো এবং এতে থাকা সুগার প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিনাশ করে। তাই ভালো থাকার জন্য প্রক্রিয়াজাত করা খাবার থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে উত্তম।
বাদাম
অবাক হবার মতো শুনালেও যদি কম পরিমাণে না খাওয়া হয় তাহলে বাদাম প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। এটি রোগ প্রতিরোধক ব্যস্থাকে বিনাশ করে যদি অতিরিক্ত পরিমানে খাওয়া হয়।
মদ্যপান
অতিরিক্ত পরিমানে মদ্যপান করলে তা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত মদ্যপান করলে তা রক্তের শ্বেতকণিকার পরিমান কমায়। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে ভালো রাখতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→→
বন্ধ নাকের সমস্যা দূর করে ফেলুন জলদি
হালকা শীতেই অনেকে কাবু হয়ে যান সর্দিজ্বরে। সবচাইতে বিরক্তিকর হলো সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে থাকা। সর্বক্ষণ সবার সামনে নাক টানা আর নাক মুছতে থাকাটা ভীষণ বিরক্তিকর। নাক বন্ধ হয়ে অস্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে তো সমস্যা হয়ই, অনেকের শরীরের পাশাপাশি মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে। নাকের এই সর্দি দূর করার জন্য আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। কিছু পদ্ধতিতে নাক দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আবার কিছু পদ্ধতিতে কিছুদিন সময় লাগলেও অসুস্থতা কেটে যাবে পুরোপুরি।
Huffington Post থেকে জানা যায় চটজলদি কয়েক মিনিটের মাঝেই নাক পরিষ্কার করে ফেলার দুটি পদ্ধতি-
১) টাং ট্যাপ
জিভের ডগা দিয়ে চাপ দিন আপনার ওপরের পাটির দাঁতের গোড়ায়। এরপর জিভ সরিয়ে নিন এবং সাথে সাথেই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিন কপালে দুই ভুরুর মাঝে। ২০ সেকেন্ড ধরে এই কাজটি বারবার করতে থাকুন। জিভ দিয়ে চাপ দিন এবং এর পর পরই কপালে চাপ দিন। এতে নাক বন্ধ ভাবটা কেটে যাবে। কেন? কারণ এই কাজটি করলে একটি হাড়ে নাড়া পড়ে। ফলে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াটা কেটে যায়।
২) নিঃশ্বাস বন্ধ করে থাকা
মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন। এরপর নাক চেপে ধরে নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখুন যতক্ষণ সম্ভব। যখন দেখবেন আর পারছেন না, তখন নাক ছেড়ে মাথা সোজা করে বড় একটা নিঃশ্বাস নিন। এই পদ্ধতিটি কেন কাজ করে? কারণ নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখলে আমাদের শরীর বুঝতে পারে বাতাসের অভাব হচ্ছে। ফলে সে নিজে থেকেই নাক পরিষ্কার করে ফেলে।
১) স্যালাইন ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে পারেন, গবেষণায় দেখা যায় বাচ্চাদের জন্য এটা খুব কার্যকরী
২) যথেষ্ট পানি পান করুন
৩) নাক ঝেড়ে ফেলুন, সর্দি আটকে রাখবেন না
৪) নাক এবং কপালে গরম সেঁক দিন, তবে ত্বক যেন পুড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন
৫) গরম চা এবং স্যুপ পান করুন
৬) ঝাঁঝালো মেনথল মলম ব্যবহার করুন
৭) গরম পানিতে গার্গল করুন
৮) কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন
৯) আপনার নাক যদি অ্যালার্জির কারণে বন্ধ হয়ে থাকে তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে। 

1 comment

Abc said...
This comment has been removed by the author.
Powered by Blogger.